মোঃ উজ্জল মিয়া, নিকলী প্রতিনিধিঃ
সরকার ঘোষিত ৭দিনের লকডাউন নির্দেশনা মানতে সারাদেশে টানা এক সপ্তাহ ঘোষিত লকডাউন চালু করেছে সরকার। সরাসরি লকডাউন হিসেবে কাগজ-কলমে ঘোষণা থাকলেও কঠোরভাবে লকডাউন পালনে সরকারের অন্তত একটি পদক্ষেপ অর্থাৎ যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে স্থানীয় মানুষদের ভিন্ন এলাকায় যাতায়াতে বাধা দেওয়ার উদ্যোগ মোটামুটি ফলপ্রসূ হয়েছে।দূরপাল্লার বাসসহ স্থানীয় পর্যায়ে যন্ত্রচালিত ছোট গণপরিবহনগুলো বন্ধ করা ও সম্ভব হয়েছে। সারাদেশেই এমন পরিস্থিতি দেখা যাওয়ায় এই পরিবহন বন্ধ না করে এমন লকডাউন দিয়ে করোনা সংক্রমণ কতটা ঠেকানো যাবে সে প্রশ্নটা উঠছেই।
লকডাউনের শুরুতে মহাসড়কে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও জনস্বার্থে কাঁচাবাজার খোলা থাকলেও সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনও লক্ষণ দেখা যায়নি নিকলী শহীদ স্বরনীকা বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে বসা খোলা আকাশের নিচে বসা বাজার, বেশিরভাগ সচেতন ক্রেতা বাজারে মাস্ক পরে গেলেও তাদের অভিযোগ, বিক্রেতাদের বেশিরভাগই ছিলেন মাস্ক ছাড়া; বাজারে ক্রেতাদের অনেককেও মাস্ক ছাড়া গাদাগাদি করে ঘুরতে দেখা গেছে।
তবে বেশিরভাগ সময় মাঠে ছিল প্রশাসন ও পুলিশের উপস্থিতি। তারা কোথাও দল বেঁধে নেমে, কোথাও র্যালি করে, কোথাও ঘোষণা দিয়ে জনসাধারণকে মাস্ক পরাসহ সরকারি নির্দেশনা মানার আহ্বান জানান। কিশোরগঞ্জের জেলার নিকলী উপজেলাতে জনসাধারণকে মাস্ক না পরা, দোকান খোলা রাখা বা যানবাহন চালনার কারণে সতর্ক করে দিলেও বেশিরভাগ মানুষ তা মানছে না যার কারনে পরিচালনা করা হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত, দেওয়া হয়েছে অর্থদণ্ড।
আপনার মতামত লিখুন :