মোঃ মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শীতের পাতা ঝড়া বৃক্ষরাজিতে ছোঁয়া লেগেছে ঋতুরাজ বসন্তের। শুষ্কতা কাটিয়ে রং ছড়াচ্ছে প্রকৃতি। মুক্ত বিহঙ্গে সুর ফিরছে সু মধুর কোকিলের কন্ঠে। কোকিল একটি রহস্যময় পাখি, বাসা বুনতে পারে না বলে নিজের বাসা বলতে কিছু নেই। চুরি করে ডিম পারে কাকসহ অন্য পাখির বাসায়। নিখুঁত সেই চুরি ধরতে পারে না মা কাক প্রসব পাখি। আর কাকের বাসায় মা-বাবা ছাড়াই বড় হয় কোকিল ছানারা। যখন মা কাক পাখি সংসার গোছানোর প্রস্তুতি নেয় ডিম পাড়ার জন্য ।
এদিকে পুরুষ কোকিল ডেকে চলে ভরদুপুরে সুরে সুরে নারী কোকিলকে। কোকিল দম্পতিরও সময় আসে ডিম দেওয়ার। কিন্তু যাযাবর কোকিলদের তো বাসা থাকেনা। পর নির্ভর সন্তান পালনের দায়িত্ব, নিজ প্রজাতির ওপর না রেখে কাকের মত অন্য পাখির উপর দিয়ে দেয়। নিখুঁত চুরির মাধ্যমে কাক পাখির বাসায় ডিম দেয়। ডিম গুলিকে পাহারা দেয় মা পাখি। কিন্তু মা পাখিকে তো খাবারের জন্য বাইরে যেতে হয় । সেই সুযোগে মা কোকিল হানা দেয় কাক পাখির বাসায়। সে ডিম চুরি করে নিয়ে যাওয়া আগে একটি ডিম পেড়ে যায় মা কাকের বাসায় । সে কোন দিন ডিম বা বাচ্চার খবর নিতে আসে না।
মা কাকের তাপে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরিয়ে আসে কোকিল ছানার। চোখ ফোটেনি অথচ চোখ না ফোটা কোকিল ছানা ফেলে দেয় কাকের ডিম । কোকিল ছানার এমন কান্ডে বিস্মিত হন মা কাক। তবু পরম মমতায় বড় করে কোকিল ছানা কে। ডিম ফোটার ১৫/২০ দিনের মাথায় দীর্ঘ পালিত বাবাা-মাকে ছাড়িয়ে উড়াল দেয় আর কখনো ফিরে আসেনা।কিন্তু কাকপাখীর জানা হয়না কি তার আসল রহস্য। প্রকৃতির নিয়মে সেও একদিন খুঁজে নেয় নতুন কোন দম্পতির বাড়ি। চুরি করে রেখে আসে ডিম।
আপনার মতামত লিখুন :