নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিশ্বের অধিকাংশ মানুষের কপালেই শরীরের বাড়তি মেদ নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়ে। মূলত অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন আর বাইরের খাবার মেদ বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী। অনেকেই ওজন কমাতে নানান রকম ডায়েট ও শারীরিক কসরতও করেন। তারপরও ফলাফল মন মতো হয় না।
পুষ্টিবিদদের মতে, শুধুমাত্র পানি খাওয়ার মাধ্যমেই শরীরের বাড়তি মেদের অনেকটাই ঝরিয়ে ফেলতে পারেন। পর্যাপ্ত পানি পান করলে বিপাকীয় হার অনেকটাই বেড়ে যায়, এর ফলে জমে থাকা মেদ ও বাড়তি ক্যালোরি কমানো সম্ভব হয়।
আমেরিকার ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউট্রিশন’-এর একদল গবেষক ওজন কমাতে ইচ্ছুক, এমন কিছু নারীদের নিয়ম করে বাড়তি এক লিটার পানি পান করানোর পরামর্শ দেন। খাবারের নিয়মে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন না করে, স্রেফ বাড়তি পানি পান করেই তারা ৬ মাসের মধ্যে ২ কেজি ওজন কমাতে পেরেছেন।
পুষ্টিবিশেষজ্ঞরা বলছেন, পানি খাওয়ার সঙ্গে যদি হালকা ব্যায়াম করা যায় এবং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার কম খাওয়া যায় তাহলে ওজন কমবে দ্রুত।
* যারা ঘন ঘন চা-কফি বা শরবত খান, তাদের ওজন বাড়ার ঝুঁকি থাকে। তাই আজই এগুলো পরিহার করুন।
* সকালে উঠে খালি পেটে পানি পান করলে, খাবারের চাহিদা ১৩ শতাংশ কমে যায়। তবে এই নিয়ম মাঝবয়সীদের জন্যে প্রযোজ্য। অল্প বয়সে শুধুমাত্র পানি পান করে ওজন কমানো কঠিন। কারণ তাদের খাবারের চাহিদা খুব একটা কমে না।
*একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, যেকোনো খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে যদি ৫০০ মিলিলিটার পানি পান করা যায়, তাহলে ১২ সপ্তাহের মধ্যে ২ কেজি মেদ ঝরে যাবে।
* সমীক্ষায় আরো জানা গেছে, যেকোনো খাবার খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিলিটার পানি পান করলে, তাতে বিপাকীয় হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। বিপাকীয় হার বাড়লে এক দিকে মেদ জমা বন্ধ হয়, অন্যদিকে বাড়তি মেদও কিছুটা ঝরে।
* প্রতিদিনের অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাবারের মতো পানিও আমাদের শরীরে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পর্যাপ্ত পানি পান করলে আমাদের বিএমআর অর্থাৎ, বেসাল মেটাবলিক রেট বেড়ে যায়। ফলে দ্রুত ক্যালোরি খরচ হয়। মেদ জমতে পারে না। উপরন্তু বাড়তি মেদ কিছুটা ঝরে যায়।
* যারা নিয়ম করে গরমকালে ২ থেকে ২.৫ লিটার পানিপান করেন, তাদের কোমরের মাপ কিছুটা কমে। ফলে বডি মাস ইন্ডেক্স অর্থাৎ, বিএমআইও কমে যায়। পানিতে কোনো ক্যালোরি থাকে না, কিন্তু পানি পান করলে শরীরের ক্যালোরি খরচ করে পানি শোষিত হয়। তাই বাড়তি মেদ ঝরে।
তাহলে আর দেরি কেন? ওজন কমাতে আজ থেকেই শুরু করে দিন ওয়াটার থেরাপি। দেখবেন একেবারে হাতেনাতেই ফল পাবেন।
সুত্রঃ ডেইলি বাংলাদেশ
আপনার মতামত লিখুন :