সর্বশেষ :

বাঘায় বিয়ের দাবিতে সেনা সদস্যর বাড়িতে অনশনরত কলেজ ছাত্রী উদ্ধার


অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশের সময় : মার্চ ১২, ২০২১ । ৫:২২ অপরাহ্ণ
বাঘায় বিয়ের দাবিতে সেনা সদস্যর বাড়িতে অনশনরত কলেজ ছাত্রী উদ্ধার

আখতার রহমান. রাজশাহীঃ

রাজশাহীর বাঘায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনরত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ মার্চ) সকালে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরন করেন বাঘা থানার পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার গোরাঙ্গপুর গ্রামের প্রেমিক আবদুল্লার বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রী জানান, বিয়ে না করায় আবদুল্লার বাড়িতে অনশন শুরু করেছিলাম। পুলিশ আমাকে থানায় নিয়ে আসেন। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করেন।

তিনি আরো জানান, ৬ মাস আগে গৌরাঙ্গপুর গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে সেনা সদস্য আবদুল্লার সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের কারনে তার সাথে বেশ কয়েকবার দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে। এছাড়া তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক হয়। কিন্তু আবদুল্লা আমাকে কিছু না জানিয়ে শুক্রবার অন্যত্রে বিয়ে করার জন্য দিন ঠিক করে। বিয়ের দিন ঠিক হওয়ার খবর জানতে পেরে আবদুল্লার বাড়িতে এসে অনশন শুরু করি। তবে এ সময় প্রেমিকা তার হাতে ব্লেড দিয়ে কেটে আবদুল্লার নাম লেখা দেখান

এ বিষয়ে প্রেমিক আবদুল্লার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। পাকুড়িয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ সরকার জানান, ঘটনাটি জানার পর ওই ওয়ার্ডের মেম্বরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজন চকিদারকে পাহারার জন্য দায়িত্ব দিই। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।

উল্লেখ্য, বুধবার (১০ মার্চ) বিকেল ৪টা থেকে প্রেমিক আবদুল্লার বাড়ির গেটে কলেজ ছাত্রী (১৮) বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছিলেন।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনশনরত কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কলেজ ছাত্রীর বাবার অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকড করা হয়েছে।

পুরোনো সংখ্যা

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
সতর্কবাণী: এই সাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার কঠোর ভাবে নিষিদ্ধ এবং কপিরাইট আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।