রাসেল শেখ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ, বাংলাদেশ মাছে ভাতে বাঙালির দেশ এদেশে উচ্চশিক্ষিত হয়ে কোন ব্যক্তি বেকার থাকবে না, গত ২ ফেব্রুয়ারি বুধবার গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভা পূর্বখন্ড এলাকায় দেলোয়ার হোসেনর ফুলবাগান মৌমিতা ফ্লাওয়ার্স পরিদর্শনে এসে শিক্ষামন্ত্রী ডা:দীপু মনি বলেন শিক্ষার্থীরা শুধু চাকুরী না, খুজে উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করো, সরকার নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে উদ্যোক্তা হওয়ার সার্বিক সহযোগিতা করবে,তোমরা নিজেরা উদ্যোক্তা হবে এবং কি অন্যদেরকে উদ্যোক্তা হতে উৎসাহ যোগাবে,তোমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে,তোমাদেরই এগিয়ে আসতে হবে,জননেত্রী শেখ হাসিনার আমলে কোন উচ্চশিক্ষিতরা বেকার থাকবে না ।
শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনির এমন বক্তব্য ধারণা করা যাচ্ছে দেশে উদ্যোক্তা বাড়বে,তবে পূর্ব থেকেই অনেকেই পড়ালেখা শেষ করে,কোন প্রকার চাকরি না পেয়ে, অন্যের দেখা দেখি নিজেই একজন উদ্যোক্তা হয়ে গেছে, তেমনি দেশের একজন সফল উদ্যোক্তা, ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা দিন নিগুয়ারী নগর পাড়া গ্রামের উচ্চ শিক্ষিত নারী সালমা আক্তার এসএসসি পাশ করার পরই টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ছাতিহাটি গ্রামের আব্দুল করিম শাহ জাহান বেগম দম্পতির কন্যা সালমা আক্তারের বিয়ে হয়,গফরগাঁওয়ের নিগুয়ারী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক বীর মুক্তিযুদ্ধা এ,এইচ,এম, নুর ইসলামের পুত্র প্রকৌশলী মাসুদুর ইসলামের সঙ্গে, বিয়ে হয়ে গেলেও সালমা আক্তার, ঘরে বসে থাকেনি,ঢাকা ইডেন কলেজ থেকে,সমাজকল্যাণ বিষয়ে অনার্স মাষ্টার্স শেষ করেন,উচ্চশিক্ষা নিয়ে অন্যদের মতো তিনি চাকুরীর পিছনে ছোটেন নি, শিক্ষা জীবন শেষ করে তিনি গ্রামের শ্বশুরবাড়ী ফিরে এসে একজন উদ্যোক্তা হওয়ার সিদ্ধান্ত করেন , দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পতিত পড়ে থাকা, শশুরের জমির উপর তিনি গরু ও মৎস খামার শুরু করেন, অবসরপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা শশুরের জিপিএ থেকে চার লক্ষ টাকা ও প্রবাসী পিতার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা নেন, মোট ছয় লক্ষ টাকা নিয়ে উচ্চশিক্ষিত সালমা আক্তার ২০১০ ইং সালে চারটি গরু কিনে, এবং ভাড়াকৃত জলাশয় নিয়ে মাছের পোনা ও গরুর খামার টি প্রতিষ্ঠা করে, মাত্র কয়েক বছরে খামারটি বেশি উন্নয়ন হয়েছে, খামারটিতে বর্তমানে ৩২টি উন্নত জাতের গরু এবং মাছ চাষের জন্য জলাশয় বেড়েছে ৪ গুণ, ৩৫০ কাটায় বিস্তৃত হয়েছে খামারটি, উদ্যোক্তা নারী সালমা আক্তারের এই খামারে এলাকার প্রায় অর্ধশত দরিদ্র মানুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে, জলাশয়ের মালিকরাও ভাড়া পেয়ে লাভবান হচ্ছে খামার টির উন্নতি দেখে এলাকার অনেকেই এই কাজ বেছে নিচ্ছেন,সালমা আক্তার তার দুই কন্যা শিশুর নামে খামারটির এর নামকরণ করেছেন, ”জান্নাত নুসরাত ডেইরি ফার্ম ও মৎস্য খামার”সালমা আক্তার জানান এলাকার সৎ নিষ্ঠাবান মোক্তার হোসেনের পরিচালনায় ও প্রচেষ্টায় তার ডেইরি ও মৎস্য খামার কোটি টাকার সম্পদে পরিণত হয়েছে,খামারের চারপাশ জুড়ে রয়েছে ফল ফুলের বাগান যা দেখে সকলের চোখ জুড়িয়ে জাবে,এলাকাবাসী বলেন সালমা আক্তার একজন নারী হয়েও সে ঘরে বসে থাকেনি, জীবনযুদ্ধে সে লরে গেছেন তাই সরকারের কাছে আবেদন তাকে সরকারিভাবে,পুরস্কৃত করে উৎসাহ যোগাতে,তাহলে বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে কোন সালমা আক্তার ই চাকরির পিছনে ছুটবে না, তারা নিজ যোগ্যতায় উদ্যোক্তা হওয়ার চিন্তা ধারায় থাকবে, এমনিভাবে একদিন বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে জাবে ও উন্নতশীল দেশে রূপান্তরিত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :